অর্থনীতিবিদদের মত: ভাল-মন্দ দুই আছে মুদ্রানীতিতে
Comments are closedবেসরকারি ও উৎপাদনশীল খাতে ঋণ প্রবাহ গতিশীল করে বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং মূল্যস্ফীতি পরিমিত রাখতে আগামী ৬ মাসের জন্য সংযত মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঘোষিত মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই হিসেব-নিকেষের সঙ্গে কিছুটা গরমিল তৈরি করতে পারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন পে-স্কেল। তবে একেও খুব বেশী আমলে নিতে রাজি নন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তার মতে পে-স্কেল বাস্তায়িত হলেও মূল্যস্ফীতিতে খুব বেশী প্রভাব পড়বে না। তার এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি। আগামী ৬ মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম খুব বেশী বাড়ার যুক্তিসঙ্গত কোন কারণ দেখছেন না সংস্থার গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। গেল অর্থবছরে বিনিয়োগ খরা এবং ব্যাংক ঋণের সুদের উচ্চহারের কারণে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ অনেক কম হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগও কম এসেছে। তাই এবারের মুদ্রানীতিতে বেসরকারিখাতে ঋণপ্রবৃদ্ধি কিছুটা কমিয়ে ধরা হয়েছে ১৫ শতাংশ। ঘোষিত মুদ্রানীতিতে আর্থিকখাতে স্থিতিশীলতার কথা বলা হলেও ঋণ খেলাপীদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের উল্লেখ না থাকায় এর সমালোচনা করেন দুই অর্থনীতিবিদই।