বিদেশি গরু আমদানিতে লোকসানে পড়ার আশঙ্কা দেশীয় খামারিদের
Comments are closedআসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের গ্রামে-গঞ্জে অসংখ্য খামারি রাত দিন পরিশ্রম করে লালন পালন করছে গরু। তাদের আশা কোরবানির সময় এবার ভাল দাম পাবেন। তবে ঈদের আগে হঠাৎ করে সীমান্ত দিয়ে গরুর আমদানি বেড়ে গেলে চরম লোকসানের আশঙ্কা রয়েই গেছে এসব দেশীয় খামারিদের। এ নিয়ে সরকারের তরফ থেকেও নেই স্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা।
নীলফামারির মো: বাবুল বিশ্বাসের ছোট্ট একটি খামারে ৮টি গরু। প্রতিদিন নিয়ম করে এসব গরুর যত্ন নেন তিনি। আশা সামনের কোরবানির ঈদে এসব গরু বিক্রি করে ভাল লাভ করবেন। বাবুলের মত অসংখ্য ছোট-বড় খামারি আশা করছেন এ বছর কোরবানির সময় গরু বিক্রি করে ভাল লাভ করবেন। কারণ গত কয়েক মাস ধরে সীমান্ত দিয়ে গরু আসা কমে যাওয়ায় বাজারে মাংসের দাম যেমন বেড়েছে তেমনি, গরুর দামও চড়া। তাই প্রতিদিন একটি গরুর যত্নের পিছনে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ করতেও খামারিদের চিন্তা হচ্ছে না। তবে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। প্রতি বছর ঈদের সময় প্রায় ৪০ লাখ শুধু গরুই কোরবানি হয়। এত বিপুল সংখ্যক গরুর চাহিদা মেটে ভারতীয় গরু দিয়ে। তবে এখানেই প্রশ্ন ওঠে, তবে দেশে যেসব খামারি রয়েছেন তাদের কি হবে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কথাতেও সীমান্ত নিয়ে স্পষ্ট ব্যখ্যা পাওয়া গেল না। কোন আশ্বাস তো নেই, উল্টো বললেন, ডিমান্ড হলে চলেই আসে। এর আগে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, এবার চোরাইপথে কোন গরু আমদানি হবে না। বিতর্ক কিংবা অনিশ্চয়তা নয়, খামারিরা সরকারের কাছে থেকে আগে ভাগেই একটা স্পষ্ট অবস্থান জানতে চান। কারণ শেষ বেলায় ভারতীয় গরুতে বাজার সয়লাব হয়ে গেলে, চরম লোকসানের মুখে পড়তে হবে দেশীয় খামারিদের।