শাহ ইনশাহ-ই-কাউয়ালী নুসরাত ফতেহ আলীর মৃত্যুবার্ষিকী
Comments are closedনুসরাত ফতেহ আলী খান পরিচিত পশ্চিমা সঙ্গীতের সঙ্গে কাওয়ালির অভূতপূর্ব সংমিশ্রণের জন্য। তার মাধ্যমেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে কাওয়ালি। হক আলী আলী, শাহবাজ কালান্দার, প্রিয়ারে প্রিয়ারে এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের জন্য ২০০৬ সালে টাইম ম্যাগাজিনে তাকে ৬০ বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ ১২ জন শিল্পীর অন্যতম হিসেবে তুলে ধরে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা উঁচুলয়ে গান গাইতে পারতেন তিনি। ১৯৪৮ সালের ১৩ অক্টোবর পাকিস্তানের ফয়সালাবাদে জন্মগ্রহণ করেন গুণি এই শিল্পী। পারিবারিক সূত্রে ছোটবেলাতেই সঙ্গীতে হাতেখড়ি। ১৯৭১ সালে পারিবারিক কাওয়ালি দলের প্রধানের দায়িত্ব নেন নুসরাত ফতেহ আলী খান। পাকিস্তানী ও ভারতীয় সিনেমায় অনেক গান করেছেন তিনি। তার বেশির ভাগ গান উর্দু ও পাঞ্জাবি, হিন্দি ভাষায়। তবে ফারসি, ব্রজ ভাষাতেও গান করেছেন। ৮০-এর দশকে ইংল্যান্ডের ওরিয়েন্টাল স্টার এজেন্সির সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী তার গান ছড়িয়ে পড়ে। এডি ভেডার, মাইকেল ব্রুক থেকে শুরু করে এ আর রহমানের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। শাহ ইনশাহ-ই-কাউয়ালী নামে পরিচিত এই শিল্পী ১৯৯৭ সালের এ দিনে লন্ডনে মারা যান।